Titanic (2018) | Bangla Dubbing Movie Download Link

টাইটানিক (ইংরেজি: Titanic) ১৯৯৭ সালের একটি মার্কিন মহাকাব্যিক প্রণয়ধর্মী দুর্যোগ চলচ্চিত্র, যা পরিচালনা, রচনা, সহ-সম্পাদনা এবং সহ-প্রযোজনা করেছেন জেমস ক্যামেরন। চলচ্চিত্রটির কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন কেট উইন্সলেট এবং লিওনার্ডো ডিক্যাপ্রিও। এতে, একটি উচ্চবিত্ত পরিবারের মেয়ে রোজের সাথে, টাইটানিক জাহাজের যাত্রায় নিম্নবিত্ত পরিবারের যুবক জ্যাকের প্রেমের গল্প তুলে ধরা হয়েছে। ১৯১২ সালে টাইটানিক জাহাজের বিধ্বস্ত হওয়ার পটভূমিতে এই প্রেমের কাহিনী প্রকাশ করা হয়েছে। যদিও এটি একটি কাল্পনিক গল্প, তবে ছবির কিছু পার্শ্বচরিত্র ঐতিহাসিক সত্যের ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে। গ্লোরিয়া স্টুয়ার্ট বৃদ্ধা রোজের চরিত্রে অভিনয় করেছেন, যিনি টাইটানিকের দুর্ঘটনার পর তার জীবনকাহিনী বর্ণনা করেন।

১৯৯৫ সালে টাইটানিক চলচ্চিত্রের শুটিং শুরু হয়, যখন জেমস ক্যামেরন টাইটানিকের আসল ভগ্নাবশেষের ছবি তোলার কাজ শুরু করেন। তিনি তার প্রেম কাহিনীর মাধ্যমে মানুষের বাস্তব জীবন ও টাইটানিক দুর্ঘটনার ট্রাজেডি তুলে ধরার চেষ্টা করেছিলেন। ছবির আধুনিক দৃশ্যগুলো রাশিয়ার মির অভিযানের সহযোগী জাহাজ Akademik Mstislav Keldysh–এ শুট করা হয়, আর প্রাচীন টাইটানিকের দৃশ্যগুলো পুনর্নির্মাণ করা হয় ক্যালিফোর্নিয়ার Playas de Rosarito–তে। টাইটানিক দুর্ঘটনার দৃশ্যগুলোর জন্য স্কেল মডেলিং এবং কম্পিউটার এনিমেশন ব্যবহৃত হয়। তখনকার সময়ে এটি ছিল পৃথিবীর সবচেয়ে বড় বাজেটের চলচ্চিত্র, যার নির্মাণ ব্যয় প্রায় ২০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। প্যারামাউন্ট পিকচার্স এবং টুয়েন্টিয়েথ সেঞ্চুরি ফক্স যৌথভাবে এই অর্থের যোগান দেয়।

চলচ্চিত্রটি ১৯৯৭ সালের ২রা জুলাই মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল, তবে নির্মাণের বিলম্বের কারণে এটি ১৯শে ডিসেম্বর মুক্তি পায়। মুক্তির পূর্বে অনেকেই ভাবছিলেন যে ছবিটি আর মুক্তি পাবে না এবং ফক্স ও প্যারামাউন্ট ব্যাপক লোকসানের মুখোমুখি হবে। কিন্তু মুক্তির পর টাইটানিক সমালোচক এবং দর্শক উভয়ের কাছ থেকে বিপুল প্রশংসা লাভ করে। টাইটানিকের দুটি প্রধান অর্জন ছিল: একাডেমি পুরস্কারের ১৪টি ক্যাটাগরির মধ্যে ১১টিতেই জয়লাভ এবং সর্বকালের সবচেয়ে বেশি আয়ের চলচ্চিত্র হওয়া। টাইটানিক মোট ২.১৮৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করেছে। মূল্যস্ফীতি ধরা না হলে, এটি এখনও পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি আয় করা চলচ্চিত্র হিসেবে রয়ে গেছে। তবে, মূল্যস্ফীতি বিবেচনায় উত্তর আমেরিকার সবচেয়ে বেশি আয় করা সিনেমার তালিকায় এটি ৬ নম্বরে অবস্থান করে। টাইটানিক ছাড়া একমাত্র বেন-হার এবং দ্য লর্ড অব দ্য রিংস: দ্য রিটার্ন অব দ্য কিং–ও ১১টি একাডেমি পুরস্কার জিতেছে।